Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

দক্ষিণ ভারতে বৈষ্ণবধর্মের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।

দক্ষিণ ভারতে বৈষ্ণবধর্মের স্বরূপ

দক্ষিণ ভারতে আঢ়বার সম্প্রদায় যে ভক্তিমূলক ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছিলেন তাকে অবলম্বন করে পরে শ্রীবৈষ্ণব ধর্মমত গড়ে ওঠে। যার প্রবক্তা ছিলেন নাথমুনি ও রক্ষণাথাচার্য। নাথমুনির পৌত্র যামুনাচার্য শ্রীবৈষ্ণব সম্প্রদায়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি স্থাপন করেন। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে সিদ্ধিএয়ং, আগম প্রামাণ্য, মহাপুরুষ নির্ণয় ইত্যাদি। তাঁর উত্তরাধিকারী রামানুজ ব্রহ্মপুত্রের বিশিষ্টাদ্বৈতবাদী ভাষ্য রচনা করেন। তাঁর অন্যান্য গ্রন্থগুলি হল গীতাভাষ্য। বেদাত্তসার বেদার্থসংগ্রহ উল্লেখযোগ্য।

তিনি বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ শ্রীবৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মূল তত্ত্ব প্রচার করেছিলেন। এই মত অনুযায়ী জগৎ ব্রহ্মের বিশেষণ স্বরূপ। ব্রহ্ম চিৎ ও অচিৎ সর্ববস্তুর উৎপত্তি কেন্দ্র। তার মতে ব্রহ্ম এক ও অদ্বিতীয় হলেও তার তিন প্রকার রূপভেদ আছে। যথা—ভোক্তা, ভোগ্য ও প্রেরিতা। এই তিন নিত্য সত্তা হচ্ছে চিৎ (জীবাত্মা) অচিৎ (জড়জগৎ) এবং ঈশ্বর।

নিম্বার্ক ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের তেলুগু ব্রাহ্মণ। তাঁর রচিত গ্রন্থের নাম “বেদান্ত পারিজাত সৌরভ”। তাঁর প্রবর্তিত সম্প্রদায় সনবাদি নামে পরিচিত। এই সম্প্রদায়ের ভিত্তি হল। দ্বৈতাদ্বৈতবাদ। এই মতে বলা হয় ঈশ্বর, জীব ও জড়জগৎ একই সময়ে পরস্পর হতে অভিন্ন ও ভিন্ন।

আর একটি সম্প্রদায়ের নাম “ব্রহ্মসম্প্রদায়” এই সম্প্রদায়ের প্রবক্তা “মাধ্ব”। এদের ইষ্টদেবতা বিষ্ণু এবং তাঁর শক্তি লক্ষী।

Leave a reply