Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

সাঁওতাল বিদ্রোহ এর বিবরণ দাও।

সাঁওতাল বিদ্রোহ এর বিবরণ

দীর্ঘকাল ধরে শােষিত অবহেলিত দারিদ্র পীড়িত আদিবাসী সম্প্রদায়ের অভাব অভিযােগ পুঞ্জীভূত হয়ে বিক্ষোভের রূপ ধারণ করে। এই আদিবাসীদের বিক্ষোভ চরম রূপ পায় ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের সাঁওতাল বিদ্রোহের মধ্যে।

বিদ্রোহের কারণ 

দামিন-ই-কোহর বাসিন্দা শান্তিপ্রিয়, অরণ্যচারী সাঁওতালরা বেশ কয়েকটি কারণে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। পি. সি. যােশী তঁার ‘Santal Rebellion গ্রন্থে লিখেছেন যে, সাঁওতাল বিদ্রোহের বিশেষ দিক ছিল স্বাধীনতার কামনা, সাঁওতাল অঞ্চল ও সাঁওতাল রাজ্য প্রতিষ্ঠার চিন্তা”। সুপ্রকাশ রায়, তার মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় কৃষক’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, “সাঁওতাল বিদ্রোহ শশাষণ-অত্যাচার-অবিচার থেকে সৃষ্টি হয়েছিল এবং এই বিদ্রোহের মধ্য থেকেই এর নেতৃত্ব জন্ম নিয়েছিল।” মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, মানভূম, ছােটনাগপুর, বীরভূম ও পালামৌ অঞ্চলে এই কৃষিজীবি আদিবাসী সম্প্রদায় জমিদার ও ব্রিটিশ কর্মচারীদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সাঁওতাল বিদ্রোহে সামিল হয়েছিল। ১৮৫৫ সালের ৩০শে জুন সিধু ও কানু নামে। দুই ভ্রাতা ভাগনাডিহির মাঠে উপস্থিত হয়ে দশ হাজার সাঁওতালদের নিয়ে স্বাধীন সাঁওতাল রাজ্য প্রতিষ্ঠার কথা ঘােষণা করেছিল।

ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ছিল সাঁওতাল বিদ্রোহ অধ্যাপক নরহরি কবিরাজ বলেন, “সাঁওতাল বিদ্রোহের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানাে। এই বিদ্রোহে প্রায় ৫০ হাজার সাঁওতাল যােগদান করেছিল।

ফলাফল  

এই বিদ্রোহের ফলে ভাগলপুর ও মুঙ্গের থেকে ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদ ঘটে। বীরভূম ও মুরশিদাবাদেও এই বিদ্রোহের বিস্তার ঘটে। ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে এই বিদ্রোহকে দমন করা হলেও ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন। পরবর্তীকালের আন্দোলনগুলিকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। সাঁওতাল গণসংগ্রামের গুরুত্ব নির্ণয় করতে গিয়ে ড. কালীকিঙ্কর দত্ত বলেছেন, “This episode opened a new chapter in the history of Bengal and Bihar.” ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন যে, “১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে স্বাধীনতার সংগ্রাম মনে করলে সাঁওতালদের কঠিন সংগ্রামকেও সেই মর্যাদা দেওয়া উচিত।” গবেষক সুপ্রকাশ রায় বলেছেন, “সাঁওতাল গণসংগ্রাম ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে অনুপ্রাণিত করেছিল।” ধীরেন্দ্রনাথ বাস্কে বলেছেন, “এই বিদ্রোহ শুধুমাত্র সাঁওতালদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বাংলা-বিহারের নির্যাতিত সাধারণ মানুষও সাঁওতাল বিদ্রোহীদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছিল।”

Download PDF

Please wait..
If the download didn’t start automatically, click here.

Leave a reply