Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির ২টি প্রত্যক্ষ প্রমাণ দাও।

পৃথিবীর আকৃতি যে গোলাকার তা নিচের দুটি প্রত্যক্ষ প্রমাণের সাহায্যে বোঝা যায় :

মহাকাশ বা চন্দ্ৰপৃষ্ঠে অভিযানকারীদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা

(ক) পৃথিবীর সর্বপ্রথম সফল মহাকাশচারী ইউরী গ্যাগারিন ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১২ই এপ্রিল স্পুটনিকে চড়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণের সময় দেখেন যে, পৃথিবীকে দেখতে গোলকাকার বটে, তবে তা অনেকটা পেয়ারার মতো। এছাড়া তাঁর তোলা পৃথিবীর ছবিও দেখতে গোলাকৃতি বা মণ্ডলাকার।

(খ) ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই জুলাই মানুষ সর্বপ্রথম চন্দ্রপৃষ্ঠে নামতে সক্ষম হয়। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ওইদিন পৃথিবীর দুই মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং ও এডউইন অ্যলড্রিন ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৪শ’ কিলোমিটার দূর থেকে ঘোর কালো মহাকাশের পটভূমিতে পৃথিবীকে দেখেন— পৃথিবীকে সেখান থেকে দেখতে লাগছিল সাদা ও ফিকে নীল রঙের একটা মণ্ডলের মতো। তবে আকৃতিতে তা পৃথিবী থেকে দেখা চাঁদের আকৃতির চেয়ে অনেক বড়ো ।

এরপর বিশ্বের প্রথম মহিলা মহাকাশচারিণী ভ্যালেন্তিনা তেরেস্কোভা এবং ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা মহাকাশ থেকে পৃথিবীর একই রকম গোলীয় আকৃতি দেখেন।

Frequently Asked Questions

ভূপৃষ্ঠে যে-কোনো দুই স্থানের দূরত্ব ও মধ্যাহ্ন সূর্যরশ্মির শিরোবিন্দু থেকে অবনতির পার্থক্য দেখে পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করা যায়।

বিভিন্ন পরীক্ষা থেকে জানা যায় যে, পৃথিবীর আকার ঠিক গোলাকার নয়, বরং পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু কিছুটা চাপা এবং মধ্যের নিরক্ষীয় অঞ্চল কিছুটা স্ফীত। সুতরাং বলা যায় যে, পৃথিবীর আকৃতি অনেকটা অভিগত গোলকের মতো।

পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস (১২,৭৫৭ কিলোমিটার) এবং মেরুবাসের (১২,৭১৪ কিলোমিটার) মধ্যে পার্থক্য হল প্রায় ৪৩ কিলোমিটার পার্থক্য (১২,৭৫৭ – ১২,৭১৪ = ৪৩) বর্তমান। পৃথিবী একটি নিখুঁত গোলক হলে দুটি ব্যাস দু'রকম হত না।

হিমালয় পর্বতের মাউন্ট এভারেস্ট হল পৃথিবীর স্থলভাগের সর্বোচ্চ অঞ্চল (উচ্চতা ৮,৮৪৯ মিটার)।

→ প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা খাত পৃথিবীর জলভাগের গভীরতম অঞ্চল (গভীরতা ১১,০০০ মিটারেরও বেশি)।

→  পৃথিবীর বন্ধুরতার প্রসর প্রায় ২০ কিলোমিটার।

Leave a reply