Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

গুজরাট রাজ্যের কৃষিজ সম্পদের বিবরণ দাও।

গুজরাট রাজ্যের কৃষিজ সম্পদের বিবরণ

কৃষিই গুজরাট রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের উপজীবিকা। সমগ্র ভূ-ভাগের শতকরা ৬০ ভাগ জমি কৃষিকার্যের উপযোগী। উর্বর কৃষ্ণমৃত্তিকা এবং জলসেচের উপস্থিতি এখানে কৃষিকার্যের উন্নতির প্রধান কারণ, গুজরাট রাজ্যের বিস্তীর্ণ সমভূমিতে নানানরকম ফসল উৎপন্ন হয়। প্রধানত বৃষ্টিপাতের পার্থক্য অনুসারে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ধান, গম, কার্পাস, ভুট্টা, জোয়ার, বাজরা, ডাল, আখ এবং চিনাবাদামসহ অন্যান্য তৈলবীজ যথেষ্ট পরিমাণে উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে ধান, গম ও জোয়ার হল গুজরাটের প্রধান খাদ্যশস্য। এছাড়া ইসবগুল, সাদা জিরে, আখ এবং আম, কলা প্রভৃতি ফল হল এই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল।

→ এই রাজ্য সারা ভারতে চিনাবাদাম ও তুলা উৎপাদনে প্রথম স্থান এবং তামাক উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। তুলা ও চিনাবাদামের অপর্যাপ্ত উৎপাদন এই রাজ্যে বস্ত্রবয়ন, উদ্ভিজ্জ তেল, বনস্পতি এবং সাবান শিল্পের বিশেষ সহায়ক হয়েছে।

কৃষি উৎপাদক অঞ্চল

গুজরাটের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ফসলের প্রাধান্য দেখা যায় এবং এই হিসেবে সমগ্র গুজরাট রাজ্যকে নিম্নলিখিত কৃষি অঞ্চলে ভাগ করা যায় :

(১) কার্পাস

এই রাজ্যের পশ্চিমভাগ, অর্থাৎ কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চলের সুরেন্দ্রনগর, আমেদাবাদ, বরোদা এবং ব্রোচে ভারতের সর্বোৎকৃষ্ট কার্পাস তুলা প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়। কার্পাস উৎপাদনে গুজরাট ভারতে প্রথম স্থান অধিকার করে;

(২) ধান

সুরাট, পাঁচমহল ও বরদার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ধান উৎপন্ন হয়;

(৩) বাজরা

ভবনগর, আম্ব্রেলী, সুরেন্দ্রনগর, মহেসেনা সবরকাথা প্রভৃতি অপেক্ষাকৃত শুকনো অঞ্চলে বাজরা উৎপন্ন হয়;

(৪) গম

আমেদাবাদ ও মহেসেনা অঞ্চলে গমের উৎপাদন বেশি;

(৫) ভুট্টা

এই রাজ্যের পাঁচমহল ও সবরকাথা অঞ্চলে ভুট্টা উৎপন্ন হয়;

(৬) তামাক ও তৈলবীজ 

এই রাজ্যের কাথিয়াবাড় উপদ্বীপের বিভিন্ন অংশে তামাক, চিনাবাদাম এবং বিভিন্ন তৈলবীজ উৎপন্ন হয়। চিনাবাদাম ও তামাক উৎপাদনে এই রাজ্য ভারতে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।

গুজরাটের উল্লেখযোগ্য ফসল এবং বিভিন্ন কৃষি অঞ্চল

ফসলকৃষি অঞ্চল
(১) কার্পাস
সুরেন্দ্রনগর, আমেদাবাদ, ব্রোচ, বরোদা, রাজকোট, সবর কাথা।
(২) তৈলবীজ
কাথিয়াবাড় উপদ্বীপের বিভিন্ন অংশ, কচ্ছ, জুনাগড়, জামনগর, আম্রোলী।
(৩) তামাকআমেদাবাদ, মেহসনা, সুরাট, বরোদা, ব্রোচ, রাজকোট, জুনাগড়।
(8) ধানবলসাদ, পাঁচমহল, সুরাট।
(৫) গমআমেদাবাদ, মেহসানা, বনাসকাটা।
(৬) মিলেট (ভুট্টা, জোয়ার বাজরা)ভাবনগর, আম্রোলী, ব্রোচ, পাঁচমহল, মেহসানা, খেড়া সবরকাথা।
(৭) চাজামনগর তালুক।

[maxbutton id=”1″ text=”Download Note PDF” url=”https://sub2unlock.xyz/5653″ linktitle=”tooltip” window=”new” nofollow=”true”]

Leave a reply