Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের সমভূমির ভূ-প্রকৃতি ও নদনদীর পরিচয় দাও।

পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের সমভূমির ভূ-প্রকৃতি ও নদনদী

[১] অবস্থান ও বিস্তৃতি

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলভাগে অবস্থিত এই সমভূমির উত্তর ও পূর্ব সীমা জুড়ে যথাক্রমে ওড়িশা উপকূল খাল ও রসুলপুর নদী অবস্থিত। উপকূলের বালুকাময় সমভূমির পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গের সীমানা ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। উত্তর-দক্ষিণে এই সমভূমি ৫-১০ কিলোমিটার চওড়া ও পূর্ব-পশ্চিমে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০ কিলোমিটারের মত।

[২] ভূমিরূপ ও মৃত্তিকা

প্রধানত বালি দ্বারা গঠিত এই অঞ্চলটি প্রায় সমতল হলেও মাঝে মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে বালির ঢিবি দেখা যায়। সর্ব দক্ষিণের উপকূলবর্তী তটভূমি বালুকাময় ও তটভূমির ঢাল খুবই কম। এখানে বালির নীচে সময় সময় কাদামাটি দেখতে পাওয়া যায়। মোটামুটিভাবে এই ভটভূমি বেশ শক্ত। এর উপরে ছোট বিমানপোত নামানো ও মোটর গাড়ি চালানো যায়। পশ্চিমদিকে দীঘার সমুদ্র ক্ষয়ের ফলে বর্তমানে এই তটভূমি ভেঙে যাচ্ছে। পূর্বদিকে সমুদ্রে পলি সঞ্চয়ের ফলে জুনপুটে নতুন তটভূমি গড়ে উঠেছে ।

→ বালির উঁচু উঁচু ঢিবিকে বালিয়াড়ি বলে। পশ্চিমবঙ্গের দীঘার কাছাকাছি সমুদ্র উপকূলের বালিয়াড়ি দীঘা বালিয়াড়ি নামে পরিচিত। সমুদ্র উপকূল থেকে ৯-১০ কিলোমিটার দূরে কাঁথির কাছে যেসব বালিয়াড়ি দেখা যায় তাদের কাঁথি বালিয়াড়ি বলে।

→ এই অঞ্চলের মাটি লবণাক্ত এবং বালুকাময় হওয়ায় এর জলধারণ ক্ষমতা কম।

[৩] নদ-নদী

এই অঞ্চলের পূর্ব সীমানায় রয়েছে রসুলপুর নদী। নদীটি আকারে ছোট এবং গ্রীষ্মকালে প্রায় শুকিয়ে যায়। নদীটিতে জোয়ার-ভাঁটা দেখা যায়। উপকূলের মাঝের অংশে পিছাবনী, যাত্রা প্রভৃতি ছোট ছোট নদী দেখা যায়। বালিয়াড়িগুলোর মাঝে মাঝে জলাভূমি দেখা যায়।

Leave a reply