Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

তুমি কি মনে কর বিক্রমাদিত্য কিংবদন্তিটি দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে?

কোন কোনে মুদ্রায় দেখা যায় যে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত “বিক্রম” এবং বিক্রমাঙ্কের সঙ্গে বিক্রমাদিত্য অভিধা গ্রহণ করেছিলেন। এই শেষের অভিধাটি নিয়েই বিতর্কের শেষ নাই। অনেকেই তাকে কিংবদন্তির “বিক্রমাদিত্য”র সঙ্গে যুক্ত করে ফেলেছেন। লোককাহিনীর এই বিক্রমাদিত্য ছিলেন একজন “শকারি” ও উজ্জয়িনীর বাসিন্দা এবং খৃঃ পূবঃ ৫৮ অব্দের বিক্রমাব্দের প্রবর্তক। জনশ্রুতি আছে তিনি অনেক জ্ঞানী গুনির, প্রসিদ্ধ ব্যক্তির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। আপাত দৃষ্টিতে লোক কাহিনীর এই বিক্রমাদিত্যের সঙ্গে গুপ্তরাজ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের অনেক সাদৃশ্য আছে। যেমন দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত শকদের পরাজিত করেছিলেন। দ্বাদশ শতাব্দীর কোন কোন লেখতে তাকে উজ্জয়িনী এবং পাটলিপুত্রে রাজা বলে পরিচিত করা হয়েছে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন গুপ্তাব্দের প্রবর্তক। তিনি ছিলেন ঐতিহ্যবাহি “নবরত্ন” সভার পৃষ্ঠপোষক। উভয়ের মধ্যে এত বেশি সাদৃশ্য যে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত নিজ লোকশ্রুতির বিক্রমাদিত্য ছিলেন …. না লোককথার নায়কের অনুসরণে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত “বিক্রমাদিত্য” উপাধি গ্রহণ করেছিলেন তা প্রমাণ করা অত্যন্ত কঠিন।

দ্বিতীয় চন্দ্ৰগুপ্ত নিজ লোককাহিনীর বিক্রমাদিত্য না হলেও, হয়ত এই বিক্রমাদিত্যের সঙ্গে জড়িত কিছু ঐতিহ্যের উৎস ছিলেন তিনি স্বয়ং। এমন হতে পারে যে মধ্য যুগের সূচনায় যখন দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত প্রায় হারিয়ে যাওয়ার পথে তখন তাঁর সঙ্গে উজ্জয়িনীর সম্পর্কে এবং তার গুপ্তাব্দের প্রবর্তন মালববাসীদের মণিকোঠায় এমন ধারণার সৃষ্টি করেছিল যে উজ্জিয়িনীর রাজা এই বিক্রমাদিত্যই তাদের অতি প্রিয় “মালব অব্দের” প্রবর্তক ছিলেন।

এই বিষয়ে আর.সি. মজুমদারের উক্তি গ্রহণযোগ্য। অর্থাৎ “কৃতজ্ঞ ভবিষ্যৎ বংশীয়গণ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের নাম বিশেষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতেন”। কিন্তু তাই বলে যদি ধরে নেওয়া যায় যে প্রত্যেক ঐতিহাসিক পুরুষই “বিক্রমাদিত্য” ঐতিহ্যের উৎস তা হলে তা চরম ভুল হবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে কিছু দিন আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট অঞ্চলে “দেবশ্রী চন্দ্ৰ” বিক্রমাদিত্যের নামাঙ্কিত কয়েকখানি ভগ্ন ব্রাহ্মীলেখের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই চন্দ্রগুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্য এইরূপ একটি মত প্রচলিত হয়েছে। এই মতে আরো যুক্তি হল কাশ্মীরে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বের অন্তর্ভূক্ত ছিল। তবে গিলগিট লেখর চন্দ্রের সঙ্গে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের সনাক্তকরণ অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য মনে হয় নাই।

Leave a reply