Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

স্পার্টার শাসনকাঠামাের বিভিন্ন দিক আলােচনা করাে।

স্পার্টার শাসনকাঠামাের বিভিন্ন দিক আলােচনা করাে।

গ্রিসের নগররাষ্ট্রগুলির মধ্যে প্রধান দু’টি নগররাষ্ট্র ছিল এথেন্স ও স্পার্টা। স্পার্টায় সুসংগঠিত নগরজীবন নয়, গ্রামজীবনই প্রাধান্য পেয়েছিল এবং এখানকার রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছিল রাজতন্ত্রকেন্দ্রিক। তাই স্পাটায় শাসনকাঠামাে তথা শাসনতন্ত্রের প্রবর্তন হয়।

স্পার্টার শাসনকাঠামাে 

স্পার্টার শাসনকাঠামাের চারটি অংশ ছিল। রাজা, শাসন পরিষদ (Gurusia) রাষ্ট্রীয় পরিষদ (Apella) ও ইফর (Ephors)।

রাজা : স্পার্টায় প্রচলিত ছিল দুই রাজার শাসন।

প্রথমত, একজন রাজা এজিড কোম থেকে এবং অন্যজন রাজা ইউরিপনটিড কোম থেকে মনােনীত হতেন। প্রথম রাজার স্থান ও মর্যাদা ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি। রাজপদ ছিল বংশানুক্রমিক।

দ্বিতীয়ত, রাজাদের তিন ধরনের ক্ষমতা ছিল। যথা— ধর্ম-সংক্রান্ত ও বিচার বিষয়ক কাজকর্ম এবং যুদ্ধ-সংক্রান্ত ক্ষমতা। যুদ্ধকালে একজন রাজা অভ্যন্তরীণ শাসন পরিচালনা করতেন, অপর রাজা সেনাপতিরুপে যুদ্ধ পরিচালনা করতেন।

তৃতীয়ত, স্পার্টায় একজন রাজা অন্য রাজাকে নিয়ন্ত্রণ করতেন।

শাসন পরিষদ

স্পার্টার শাসন পরিষদ গেরুসিয়া নামে পরিচিত ছিল। দুইজন রাজা সহ জনগণ দ্বারা নির্বাচিত ২৮ জন সদস্য নিয়ে এই পরিষদ গঠিত হতাে। এই পরিষদের কার্যাবলি হলাে –

প্রথমত, রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ, আইন প্রবর্তন, যুদ্ধ ঘােষণা করাও ছিল এই পরিষদের কার্যাধীন।

দ্বিতীয়ত, নরহত্যাজনিত ফৌজদারি মামলার বিচারের ভারও এই পরিষদের হাতে ন্যস্ত ছিল। সম্রাটের বিচারও এই আদালতে হতাে।

তৃতীয়ত, শাসন পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে আলােচনার মাধ্যমেই রাজা কোনাে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন।

রাষ্ট্রীয় পরিষদ 

স্পার্টায় রাষ্ট্রীয় পরিষদ ছিল শাসন পরিষদ অপেক্ষা অনেক বেশি গণতান্ত্রিক। সামরিক শিক্ষাগ্রহণকারী ত্রিশ বছর ও তার অধিক বয়সি প্রতিটি নাগরিকই এই পরিষদের সদস্য হতে পারত। প্রতিমাসে অন্তত একবার এই সভার অধিবেশন বসত। এই সভার কার্যাবলি হলাে –

রাজা অথবা শাসনপরিষদ অথবা ইফরগণের দ্বারা প্রেরিত বিষয় রাষ্ট্রীয় পরিষদে আলােচনা হতাে। অ্যারিস্টটলের মতে, কোনাে প্রস্তাব সংশােধনের ক্ষমতাও রাষ্ট্রীয় পরিষদের ছিল না। বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ, যুদ্ধে নেতৃত্বদানের জন্য রাজাকে নির্বাচন, রাজপদ সম্পর্কিত বিতর্কের মীমাংসা করার অধিকারী ছিল রাষ্ট্রীয় পরিষদ।

ইফর বা ম্যাজিস্ট্রেটগণ

স্পার্টার শাসনতন্ত্রের সর্বাধিক উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য হলাে ইফরগণের অস্তিত্ব। পাঁচটি ডেমি বা গ্রাম নিয়ে গঠিত স্পার্টায় প্রতিটি ডেমি থেকে একজন করে মােট পাঁচজন ইফর একবছরের জন্য নির্বাচিত হতেন।

প্রথমত, ইফর বা ম্যাজিস্ট্রেটগণ ছিলেন জনগণের দ্বারা নির্বাচিত, তাই তারা রাষ্ট্রীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানের অধিকারী ছিলেন।

দ্বিতীয়ত, প্রতিমাসে রাজা ও ইফরদের মধ্যে শপথ বিনিময় হলে।

তৃতীয়ত, রাষ্ট্রের নিয়মশৃঙ্খলার রক্ষণাবেক্ষণ এবং দেওয়ানি মামলার বিচার করাই ছিল ইফরদের মূল কাজ।

উপসংহার

উপরােক্ত আলােচনা থেকে দেখা যায় যে স্পার্টার সংবিধান ছিল। রাজতান্ত্রিক ও অভিজাত তান্ত্রিকতার সংমিশ্রণ। দ্বৈতরাজার উপস্থিতি, পরিষদ ও রাষ্ট্রীয় পরিষদের অভিজাত প্রতিনিধিদের নির্বাচন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে অভিজাত চরিত্র প্রতিফলিত হয়েছিল।

Download PDF

Please wait..
If the download didn’t start automatically, click here.

Leave a reply