Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

জোয়ারভাটা কী? জোয়ারভাটা সৃষ্টির কারণ কী কী ?

জোয়ারভাটা

জোয়ারভাটা কাকে বলে? মুখ্যত চন্দ্রের আকর্ষণী শক্তির প্রভাবে এবং অপেক্ষাকৃত কম মাত্রায় সূর্যের আকর্ষণী শক্তির প্রভাবেও নিয়মিতভাবে দিনে দুবার করে পর্যায়ক্রমে সমুদ্রজলের স্ফীতি ও অবনমন ঘটে। সমুদ্রের এই জলস্ফীতিকে জোয়ার এবং জল তলের অবনমনকে ভাটা বলে।

স্থলভাগ দিয়ে ঘেরা অগভীর সমুদ্রে জোয়ারভাটার জলতলের পার্থক্য ৬ মিটারের বেশি এবং সংকীর্ণ নদী মোহনায় ১৫ মিটার বা তার বেশি হলেও উন্মুক্ত মহাসাগরে জোয়ারভাটার সময় জলতলের পার্থক্য মাত্র ১ মিটারেরও কম হয়।

জোয়ারভাটা সৃষ্টির কারণ

জোয়ারভাটা সৃষ্টির কারণ :

(১) সূর্যের ভর চন্দ্রের ভরের তুলনায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ গুণ বেশি হওয়া সত্ত্বেও সূর্য চন্দ্রের চেয়ে প্রায় ৩৮০ গুণ দূরে অবস্থিত। এইজন্য পৃথিবীতে চন্দ্রের আকর্ষণী ক্ষমতা সূর্যের প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায় সূর্যের চেয়ে প্রধানত চন্দ্রের আকর্ষণেই জোয়ারভাটা হয়।

(২) চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণী শক্তির প্রভাবে কঠিন পদার্থের তুলনায় পৃথিবীর তরল জলরাশি খুব সহজে প্রভাবিত হয়ে জোয়ারের সৃষ্টি করে।

(৩) পৃথিবীর জলরাশির পরিমাণ সুনির্দিষ্ট হওয়ায়, চন্দ্র-সূর্যের আকর্ষণ প্রভাবিত স্থানের দিকে পৃথিবীর জলরাশি চলে যাওয়ায় কম আকর্ষণ যুক্ত স্থানে ভাটার সৃষ্টি হয়।

(৪) পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে ভূপৃষ্ঠের বারিমণ্ডলের মত শিথিল পদার্থ কেন্দ্র- বহির্মুখী শক্তির জন্য ভূপৃষ্ঠ থেকে দূরে সরে যেতে চায়।

Leave a reply