Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

মিশনারিদের প্রচেষ্টায় নারী শিক্ষা বিষয়ে সংক্ষেপে উল্লেখ কর।

মিশনারিদের প্রচেষ্টায় নারী শিক্ষা বিষয়ে সংক্ষেপে উল্লেখ কর।

মিশনারিদের প্রচেষ্টায় নারী শিক্ষা

মিশনারিদের প্রচেষ্টায় উনিশ শতকের প্রথমার্ধে বেশ কিছু নারী শিক্ষার প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। বাংলায় যে সমস্ত মেয়েদের শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলি ছিল তার মধ্যে ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে রেভারেন্ড মে চুচুঁড়ায় মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর জন্য একটি স্কুল খোলেন। পরের বছর উইলিয়াম কেরি শ্রীরামপুরে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। শ্রীরামপুর মিশনের উদ্যোগে মেয়েদের শিক্ষার জন্য Female Juvenile Society স্থাপিত হয় যারা ১০টি বিদ্যালয় পরিচালনা করত। পরবর্তীকালে এই সোসাইটির নাম পরিবর্তিত হয়ে Calcutta Baptist Female School Society রাখা হয়। মিশনারি উদ্যোগে ইংল্যান্ড থেকে কুমারী কুককে নিয়ে আসা হয় নারী শিক্ষা পরিচালনার জন্য। তিনি চার্চ মিশনারি সোসাইটির আর্থিক সাহায্যে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে মেয়েদের জন্য কয়েকটি অবৈতনিক স্কুল খোলেন। ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কুমারী কুক প্রতিষ্ঠা করেন ২৪টি বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়গুলিতে পড়া, লেখা ও গণিত শেখানোর সাথে সাথে ইতিহাস, ভূগোল প্রভৃতি বিষয় শেখানো হত। বাংলায় নারী শিক্ষা বিকাশে কুমারী কুকের গুরুত্ব অপরিসীম।

এইরূপ মাদ্রাজ, বোম্বাই প্রভৃতি অন্যান্য প্রদেশেও মহিলা মিশনারিদের উদ্যোগে মেয়েদের বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে চার্চ মিশনারি সোসাইটি মাদ্রাজে প্রথম মেয়েদের বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে বোম্বাই প্রদেশে প্রথম মেয়েদের বিদ্যালয় স্থাপন হয়। তাছাড়াও দেখা যায় মিশনারিদের উদ্যোগে ভারতের নানান জায়গাতে অনাথ আশ্রম, কর্মাশ্রম প্রভৃতি খোলা হয়।

Leave a reply