Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

কলকাতা বন্দর সৃষ্টির কারণ উল্লেখ কর এবং এর পশ্চাদভূমি, আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য সম্পর্কে আলোচনা কর।

পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদীর বামতীরে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় ১২৮ কি. মি. অভ্যন্তরে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর কলকাতা অবস্থিত।

কলকাতা বন্দর সৃষ্টির কারণ

(১) হুগলি নদীর নাব্যতা, (২) কৃত্রিম পোতাশ্রয় নির্মাণের সুবিধা, (৩) নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া, (৪) পশ্চাদভূমির সঙ্গে রেলপথ, সড়কপথ ও নদীপথে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা, (৫) কলকাতার মতো জনবহুল শহরের মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় শ্রমিকের সুলভ সরবরাহ প্রভৃতি নানা কারণে কলকাতা বন্দরটি গড়ে উঠেছে।

পশ্চাদভূমি

পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম, অসম, উত্তর-পূর্ব ভারতের পার্বত্য রাজ্যসমূহ ও মিত্রদেশ নেপাল ও ভুটান কলকাতা বন্দরের পশ্চাদভূমির অন্তর্গত। এই পশ্চাদভূমির আয়তন ভারতের অন্যান্য বন্দরের পশ্চাদভূমির আয়তনের তুলনায় বেশি এবং এই অঞ্চল কৃষি ও শিল্প সম্পদে অত্যন্ত উন্নত।

আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য 

কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের চা ও পাটজাত দ্রব্য; অসমের চা; ঝাড়খণ্ড বিহার ও ওড়িশার কয়লা, লৌহ, ম্যাঙ্গানীজ, অভ্র ও লাক্ষা; উত্তরপ্রদেশের তেল, চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য; মধ্যপ্রদেশের কার্পাস ও কাঠ এবং অন্যান্য বিভিন্ন রাজ্য ও রাষ্ট্র থেকে চামড়া, শিল্পদ্রব্য প্রভৃতি পণ্য বিদেশে রপ্তানি এবং খনিজ তেল, কাগজ, লবণ, সিমেন্ট, রাসায়নিক দ্রব্য, সার প্রভৃতি জিনিস বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়।

→ কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে সাধারণত ব্রিটেন, ইউরোপ, রাশিয়া, জাপান এবং মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য করা হয়। ভারতের আমদানি বাণিজ্যে কলকাতার স্থান দ্বিতীয়, রপ্তানি বাণিজ্য এবং মাল পরিবহনের ক্ষেত্রে ভারতীয় বন্দরগুলির মধ্যে কলকাতার স্থান পঞ্চম।

Leave a reply