Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার মধ্যে পার্থক্য লেখ।

অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার মধ্যে পার্থক্য

অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার মধ্যে পার্থক্য গুলি হলো –

অক্ষরেখাদ্রাঘিমা রেখা
(১) একই অক্ষাংশবিশিষ্ট রেখাকে অক্ষরেখা বলে।(১) একই দ্রাঘিমাংশবিশিষ্ট রেখাকে দ্রাঘিমারেখা বলে।
(২) অক্ষরেখাগুলো পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত।(২) দ্রাঘিমারেখাগুলো পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত।
(৩) অক্ষরেখাগুলো নিরক্ষরেখা এবং নিজেদের মধ্যে সমান্তরালভাবে অবস্থিত থাকে।(৩) দ্রাঘিমারেখাগুলো পরস্পরের মধ্যে সমান্তরালভাবে বিন্যস্ত থাকে না, কারণ প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
(৪) সমাক্ষরেখাগুলো পূর্ণবৃত্ত।(৪) দ্রাঘিমারেখাগুলো অর্ধবৃত্ত।
(৫) উত্তর বা দক্ষিণ গোলার্ধের প্রত্যেকটি অক্ষরেখার দৈর্ঘ্যে পার্থক্য দেখা যায়। নিরক্ষরেখা বৃহত্তম দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট অক্ষরেখা, এই রেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিণে মেরুদ্বয়ের দিকে অক্ষরেখাগুলোর দৈর্ঘ্য ক্রমশ কমতে থাকে।(৫) প্রতিটি দ্রাঘিমারেখার দৈর্ঘ্য সমান।
(৬) একই অক্ষরেখায় অবস্থিত স্থানগুলো পরস্পরের পূর্ব বা পশ্চিম দিকে বিস্তৃত থাকে।(৬) একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত স্থানগুলো পরস্পরের উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত থাকে।
(৭) অক্ষরেখাগুলো পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে আছে। তাই একই সমাক্ষরেখার সর্বত্র এক সময়ে সূর্যোদয়, মধ্যাহ্ন বা সূর্যাস্ত হয় না, আগে পরে হয়।(৭) দ্রাঘিমারেখাগুলো পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণে বেষ্টন করে আছে বলে একই দ্রাঘিমায় সর্বত্র একই সময়ে সূর্যোদয়, মধ্যাহ্ন বা সূর্যাস্ত হয়।
(৮) একই অক্ষরেখার ওপর অবস্থিত বিভিন্ন স্থানের উষ্ণতার মধ্যে খুব একটা তারতম্য হয় না।(৮) একই দ্রাঘিমারেখার ওপর অবস্থিত বিভিন্ন জলবায়ুর মধ্যে বিরাট পার্থক্য দেখা যায়।
(৯) নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর এবং দক্ষিণ উভয়দিকে সমান্তরালভাবে ১° পর পর ৮৯টি বৃত্তাকার সমাক্ষরেখা টানা যায়।(৯) মূলমধ্যরেখা থেকে ১° অন্তর পূর্ব ও পশ্চিমে ১৮০° অর্ধবৃত্তাকার দ্রাঘিমারেখা আঁকা হয়। ০° দ্রাঘিমার ঠিক বিপরীত দিকে থাকে ১৮০° দ্রাঘিমারেখাটি এবং এটি ১৮০° পূর্ব এবং ১৮০° পশ্চিম—এই উভয় দ্রাঘিমারেখাকেই নির্দেশ করে।
(১০) সর্বোচ্চ অক্ষরেখা ৯০° উত্তর বা দক্ষিণ।(১০) সর্বোচ্চ দ্রাঘিমারেখা ১৮০° পূর্ব বা পশ্চিম।
(১১) নিরক্ষরেখা থেকে অক্ষাংশ গণনা করা হয়।(১১) মূল মধ্যরেখা থেকে দ্রাঘিমা গণনা করা হয়।
(১২) কোনো স্থান নিরক্ষরেখা থেকে কতটা উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত তা জানতে হলে অক্ষরেখার প্রয়োজন হয়।(১২) কোনো স্থান মূলমধ্যরেখা থেকে কত পূর্বে বা পশ্চিমে অবস্থিত তা জানার জন্য দ্রাঘিমারেখার প্রয়োজন হয়।
(১৩) একই অক্ষরেখার বিভিন্ন স্থানের “স্থানীয় সময়ের” মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।(১৩) একই দ্রাঘিমারেখার বিভিন্ন স্থানের স্থানীয় সময় একই রকম হয়।
(১৪) স্থানীয় সময় নির্ণয়ের ব্যাপারে প্রয়োজন হয় না।(১৪) স্থানীয় সময় নির্ণয়ে দ্রাঘিমারেখার প্রয়োজন হয়।
(১৫) অক্ষরেখার পৃথিবীকে বিভিন্ন তাপমণ্ডলে ভাগ করতে সাহায্য করে।(১৫) পৃথিবীর তাপমণ্ডল নির্ণয় করতে দ্রাঘিমারেখার প্রয়োজন হয় না।
(১৬) অক্ষাংশের সাহায্যে পৃথিবীর কোন্ স্থানের স্থানীয় সময় নির্ণয় করা যায় না।(১৬) দ্রাঘিমার সাহায্যে পৃথিবীর কোন্ স্থানের স্থানীয় সময় নির্ণয় করা যায়।

Leave a reply