Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

চোল স্থাপত্যরীতিটির বৈশিষ্ট্য লেখো।

চোল স্থাপত্যরীতিটির বৈশিষ্ট্য

চোল স্থাপত্যরীতির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল:

(১) মন্দিরের গায়ে খোদাই করা অসংখ্য মূর্তি হল চোল স্থাপত্যরীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

(২) মন্দিরের প্রবেশ পথে নির্মিত কারুকার্যময় বিশাল তোরণ বা ‘গোপুরম’ হল চোল স্থাপত্যরীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য। ‘গোপুর’ নামে পরিচিত এই তোরণগুলি মূল মন্দিরের তুলনায় অনেক বেশি আকর্ষণীয় হত।

সূক্ষ্ম কারুকার্যময় বৃহদাকার তোরণ বা ‘গোপুরম বা প্রবেশদ্বার চোল শিল্পের বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্য। কুম্ভকোনমের গোপুরমটি স্থাপত্যশিল্পের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। চোল শিল্পের বিখ্যাত নিদর্শনগুলির মধ্যে চোলরাজ বিজয়ালয়ের ‘চোলশ্বর মন্দির, প্রথম পরাস্তকের করঙ্গনাথের মন্দির, প্রথম রাজরাজের তাঞ্জোরের ‘রাজরাজেশ্বরের মন্দির’, প্রথম রাজেন্দ্র চোলের ‘গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরমের মন্দির’, সুব্রাহ্মণ্য মন্দির’ ও ‘দ্বার সমুদ্রের মন্দির’ ইত্যাদি প্রধান।

তাঞ্জোরের রাজরাজেশ্বরের মন্দির সাতবছর ধরে (১০০৩-১০১০ খ্রিঃ) তৈরি হয়। এই মন্দিরের বিমান বা চূড়া ১৪ তলা, উঁচু ২০০ ফুট। প্রায় গগনচুমী এই মন্দিরের চারদিক ৫০০‌ × ২৫০ ফুট উঁচু প্রাচীরবেষ্টিত আছে। এটিই প্রাচীন ভারতের বৃহত্তম ও উচ্চতম মন্দির। চোর যুগে পল্লবদের মতো পাহাড় কেটে ফাঁপা করে মন্দির তৈরী করা হত না। স্বাধীন অট্টালিকার মতো মন্দির তৈরি হত। সেক্ষেত্রে কেটে কারুকার্য করে বসানো হত।

Leave a reply