Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

টীকা লেখো : সমচাপরেখা।

সমচাপরেখা

ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে বছরের বিভিন্ন সময়ে বায়ুচাপের তারতম্য লক্ষ করা যায়। উষ্ণতার মতো উচ্চতার পার্থক্যেও বায়ুচাপের তারতম্য হয়। তাই সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ু চাপে পরিবর্তিত করে বছরের কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, ভূপৃষ্ঠের সমচাপ বিশিষ্ট বিভিন্ন স্থানের ওপর দিয়ে যে কাল্পনিক রেখা টানা হয় তাকে সমপ্রেষ বা সমচাপ রেখা বলে। পৃথিবী পৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে বায়ুচাপের বিভিন্নতার জন্য আলাদা আলাদা সমষে রেখা আঁকা হয়ে থাকে।

সমচাপ রেখার বৈশিষ্ট্য

(১) পৃথিবীতে বছরের বিভিন্ন সময়ের মধ্যে জানুয়ারি ও জুলাই মাসে বায়ুচাপের সর্বাধিক পার্থক্য লক্ষ করা যায়। এইজন্য ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন অঞ্চলে জানুয়ারি ও জুলাই মাসের বায়ুচাপের ওপর ভিত্তি করে সমপ্রেষ রেখার মানচিত্র আঁকা হয়। সমপ্রেষ রেখাগুলো প্রধানত জানুয়ারি ও জুলাই মাসে প্রধানত ২ মিলিবার তফাতে টানা হয়।

(২) অনেক সময় উচ্চতার পার্থক্যের দরুন, অতি নিকটবর্তী দুটো স্থানের বায়ুর চাপ এক রকম হয় না। এইজন্য বিভিন্ন স্থান সমুদ্র সমতলে থাকলে সেই স্থানগুলোতে বায়ুর চাপ কত হবে প্রথমে তা স্থির করে, সেগুলোর মাসিক বা বাৎসরিক চাপের গড় নির্ণয় করে সমপ্রেষ রেখাগুলো আঁকা হয়।

(৩) প্রতি ১০ মিটার উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য বায়ুচাপ ১ মিলিবার হারে কমে যায়।

(৪) বায়ু সবসময়েই উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। কাজেই বিভিন্ন সময়ের সমপ্রেষ রেখার মানচিত্র দেখে কখন কোনো দিক থেকে কোন দিকে বায়ু প্রবাহিত হবে তা বোঝা যায়।

(৫) সমপ্রেষ রেখাগুলো কাছাকাছি অবস্থান করলে বায়ুপ্রবাহের গতি প্রবল হয়।

(৬) সমপ্রেষ রেখাগুলো সাধারণত পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত থাকে।

Leave a reply