Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

ব্রিটিশরাজ থেকে কয়েকটি শর্ট প্রশ্ন উত্তর।

ব্রিটিশরাজ

১। ভারতে কবে থেকে ব্রিটিশরাজের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর : ভারতে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ব্রিটিশরাজের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।


২। কত বছর অন্তর সনদ নবীকরণ করা হত?

উত্তর : প্রতি কুড়ি বছর অন্তর সনদ নবীকরণ করা হত।


৩। দ্বৈত শাসনকালে বাংলায় কারা রাজস্ব আদায় করতেন?

উত্তর : দ্বৈত শাসনকালে বাংলায় নায়েব-দেওয়ানগণ রাজস্ব আদায় করতেন।


8। কার শাসনকালে ‘রাজস্ব বোর্ড’ (Revenue Board) স্থাপিত হয়?

উত্তর : গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের শাসনকালে রাজস্ব বোর্ড স্থাপিত হয়।


৫। ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?

উত্তর : ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংস।


৬। কত খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন?

উত্তর : ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস গভর্নর জেনারেল পদে নিযুক্ত হন।


৭। পাঁচষালা বন্দোবস্ত কে প্রবর্তন করেন?

উত্তর : ‘পাঁচসালা বন্দোবস্ত’ প্রবর্তন করেন ওয়ারেন হেস্টিংস।


৮। একসালা বন্দোবস্ত কে প্রবর্তন করেন?

উত্তর : ‘একসালা বন্দোবস্ত’ প্রবর্তন করেন লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস।


৯। দশমালা বন্দোবস্তু’ কে প্রবর্তন করেন?

উত্তর : ‘দশসালা বন্দোরস্ত’ প্রবর্তন করেন লর্ড কর্নওয়ালিশ।


১০। দশসালা বন্দোবস্ত’ কত খ্রিস্টাব্দে প্রচলিত হয়?

উত্তর : ‘দশসালা বন্দোবস্ত’ প্রচলিত হয় ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে।


১১। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ কে প্রচলন করেন?

উত্তর : ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ প্রচলন করেন লর্ড কর্নওয়ালিশ।


১২। কোন সালে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ প্রবর্তিত হয়?

উত্তর : ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২২ মার্চ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তিত হয়।


১৩। কোন্ কমিশনের সুপারিশে ওয়ারেন হেস্টিংস ‘একসালা বন্দোবস্ত’ প্রবর্তন করেন?

উত্তর : আমিনি কমিশনের (১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে) সুপারিশে ওয়ারেন হেস্টিংস একসালা বন্দোবস্ত প্রচলন করেন।


১৪। কে রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত’ প্রচলন করেন?

উত্তর : আলেকজান্ডার রিড্ ও টমাস মনরো ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে ‘রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত’ প্রচলন করেন।


১৫। মহলওয়ারি বন্দোবস্ত কে প্রবর্তন করেন?

উত্তর : ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে হোল্ট ম্যাকেঞ্জি ‘মহলওয়ারি বন্দোবস্ত’ প্রচলন করেন।


১৬। কোন্ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে ভারতে একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার লাভ করে?

উত্তর : ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে ভারত একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার লাভ করে।


১৭। কোন্ সনদ আইনে কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকারের অবসান ঘটে?

উত্তর : ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনে কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকারের অবসান ঘটে।


১৮। সম্পদের নির্গমন’ তত্ত্বটি কে প্রথম ভারতে প্রচার করেন?

উত্তর : সম্পদের নির্গমন’ তত্ত্বটি প্রথম ভারতে প্রচার করেন দাদাভাই নৌরজি তাঁর Poverty and UnBritish Rule in India’ নামক গ্রন্থে।


১৯। কোন আইনে ভারতে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’-র কথা বলা হয়?

উত্তর : ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দের পিটের আইনে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে’র প্রস্তাব দেওয়া হয়।


২০। কোন আইনে ভারতে ইউরোপীয়দের বাস করার অধিকার দেওয়া হয়?

উত্তর : ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দের চার্টার আইনে ইউরোপীয়দের ভারতে বাস করার অধিকার দেওয়া হয়।


২১। ব্রিটিশরাজের শাসন বলতে কী বোঝ?

উত্তর : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের পর ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতে কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটে। ভারত শাসনের ক্ষমতা লাভ করে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও ইংল্যান্ডের মহারানি ভিক্টোরিয়া। এই শাসনব্যবস্থাকে ব্রিটিশরাজ বলা হয়।


২২। ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিনিয়োগ নীতি কী ছিল?

উত্তর : ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিনিয়োগ (Investment) নীতি ছিল বাংলার ভূমিরাজম্বকে কোম্পানির প্রধান আয়ে পরিণত করা এবং তার দ্বারা মাল খরিদ করা ও দাক্ষিণাত্যের যুদ্ধের ব্যয়ভার নির্বাহ করা।


২৩। বাংলার রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে ওয়ারেন হেস্টিংস কাদের নিযুক্ত করেন?

উত্তর : দ্বৈত শাসনকালে বাংলার ভূমিরাজস্ব সংগ্রহ করতেন নায়েব দেওয়ান রূপে রেজা খাঁ ও সিতাব রায়। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে ওয়ারেন হেস্টিংস কালেক্টর’ নামক কর্মচারীকে রাজস্ব সংগ্রহে নিযুক্ত করেন।


২৪। ভ্রাম্যমাণ কমিটি কী? তা কেন গঠিত হয়েছিল?

উত্তর : লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস ভূমিরাজস্ব সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করেন, যা ভ্রাম্যমাণ কমিটি নামে পরিচিত। এই কমিটির কাজ ছিল বিভিন্ন অঞ্চলের ভূমিরাজস্ব সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা।


২৫। একসালা বন্দোবস্ত’ কোন্ সালে প্রচলিত হয়? কোন্ সালে এর অবসান ঘটে?

উত্তর : লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে ‘একসালা বন্দোবস্ত’ প্রচলন করেন। একসালা বন্দোবস্তের অবসান ঘটে ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে।


২৬। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথম কোথায় প্রচলিত হয়? এই বন্দোবস্তের অপর নাম কী?

উত্তর : ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথম বাংলা ও বিহারে প্রচলিত হয়। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অপর নাম জমিদারি বন্দোবস্ত।


২৭। ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ জমিদারদের ক্ষমতার কীরুপ পরিবর্তন ঘটায়?

উত্তর ঃ মোগল যুগে জমিদার শ্রেণি ছিল রাজস্ব আদায়কারী ও কৃষক ছিল জমির মালিক। কিন্তু চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে জমিদার জমির মালিকে পরিণত হয়।


২৮। অবশিল্পায়ন কাকে বলে? 

উত্তর : শিল্পায়নের বিপরীত শব্দ হল অবশিল্পায়ন। ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনের প্রথমার্ধে বা উনিশ শতকের প্রথম দিকে যে আর্থিক শোষণের এক সুপরিকল্পিত পথ হিসেবে ভারতে শিল্পগুলির ধ্বংসসাধন করা হয়েছিল সেটাই অবশিল্পায়ন নামে পরিচিত। সব্যসাচী ভট্টাচার্যের তে, জাতীয় আয়ে কৃষিজ সম্পদ বৃদ্ধি শিল্পজ কমতে থাকাকে অবশিল্পায়ন বলে।


২৯। অবাধ বাণিজ্য নীতি বলতে কী বোঝ

উত্তর : ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতের সুতিবস্ত্রের বাণিজ্যের একচেটিয়া অধিকার ছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির। কিন্তু এই সময়ের পর কোম্পানির একচেটিয়া অধিকার লোপ করে ইংল্যান্ডের শিল্পপতিদের কাছে ভারতের বাণিজ্যের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর ফলে ভারতে অবাধ বাণিজ্য নীতি কার্যকর হয়।


৩০। ব্রিটিশ শুল্ক সংরক্ষণ নীতি কেমন ছিল?

উত্তর : ব্রিটিশ শুল্ক সংরক্ষণ নীতি ছিল বৈষম্যমূলক। ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লব দ্বারা উৎপাদিত দ্রব্যাদি ভারতের মতো বিশাল বাজারে বিক্রি ও ইউরোপের অন্যান্য দেশে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিক্রির উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় বস্ত্রের ওপর রপ্তানি শুল্ক বহুগুণ বৃদ্ধি করে এবং ইংল্যান্ডের তৈরি বস্ত্রের ওপর আমদানি শুল্ক হ্রাস করে।


৩১। উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ইংল্যান্ডে রপ্তানিকৃত ভারতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে কীরুপ চারিত্রিক পরিবর্তন ঘটেছিল?

উত্তর : উনিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত ভারত থেকে ইংল্যান্ডে সুতিবস্ত্র (ক্যালিকো) বেশি রপ্তানি হত। কিন্তু এই শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে সুতিবস্ত্রের স্থান গ্রহণ করে কাঁচা তুলো। ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের তথ্য থেকে জানা যায় যে ওই বছর ৪,৩০০,০০০ পাউন্ড মূল্যের কাঁচা তুলো এবং মাত্র ৮,১০,০০০ পাউন্ড মূল্যের সুতিবস্ত্র রপ্তানি করা হয়।


৩২। ব্রিটেনের বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন ঘটেছিল কেন?

উত্তর ঃ অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব দেখা দেয়। ওই শতকের শেষার্ধে ও উনিশ শতকের প্রথমার্ধে ইংল্যান্ডে পণ্যসামগ্রির উৎপাদন অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। ফলে ইংল্যান্ড তার বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন ঘটিয়ে রপ্তানি বাড়ায়।


৩৩। পিস আইনের মূল বক্তব্য কী ছিল?

উত্তর ঃ ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে পিটস আইন (Pitts India Act) পাস হয়। এই আইনে ভারতীয় ভূমিরাজস্ব স্থায়ীভাবে পুনর্গঠনের কথা বলা হয়। সুপারিশ করা হয় জমিদার শ্রেণির সঙ্গে স্থায়ী বন্দোবস্ত করার।

Leave a reply