Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠার পটভূমি সম্বন্ধে যাহা জান লেখাে।

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠার পটভূমি সম্বন্ধে যাহা জান লেখাে।

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠার পটভূমি

(১) লন্ডন ঘােষণাপত্র

লন্ডনে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, কানাডার প্রতিনিধিরা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও বিশ্ববাসীর নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যে এক সম্মেলনে মিলিত হয়ে (১৯৪১ খ্রি. জুন) এক আন্তর্জাতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব রাখেন।

(২) আটলান্টিক সনদ

মার্কিন রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল আমেরিকার নিউ ফাউন্ডল্যান্ড দ্বীপের কাছে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে প্রিন্স অব ওয়েলস্ নামক যুদ্ধজাহাজে গােপন বৈঠকে মিলিত হয়ে এক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলার জন্য এই ঘােষণাপত্র স্বাক্ষর করেন (১৯৪১ খ্রি. ৯ আগস্ট)। এই সনদের মূল বক্তব্য (বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা রক্ষা)-ই পরবর্তীকালে জাতিপুঞ্জের সনদে স্থান পায়।

(৩) ওয়াশিংটন সম্মেলন

আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন শহরে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, সােভিয়েত রাশিয়া, চিনসহ বিশ্বের ২৬টি দেশের প্রতিনিধিরা এক সম্মেলনে মিলিত । (১৯৪২ খ্রি., জানুয়ারি)। এই সম্মেলনে আটলান্টিক সনদের শর্তগুলি গৃহীত হয় ও ইউনাইটেড নেশন গড়ে তােলার প্রস্তাব রাখা হয়।

(৪) মস্কো সম্মেলন

সােভিয়েত রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মলােটভ, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ইডেন, হল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্ডেল হাল আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে মস্কোতে এক সম্মেলনে মিলিত হন (১৯৪৩ খ্রি., ৩০ অক্টোবর)। এই সম্মেলনে এক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গঠনের কথা আলােচিত হয়।

(5) তেহরান ঘােষণা

ইরানের তেহরান শহরে রুজভেল্ট, চার্চিল ও স্টালিন বিশ্বে শান্তিপ্রতিষ্ঠার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান গঠনের লক্ষ্যে এক ঘােষণাপত্র জারি করেন (১৯৪৩ খ্রি., ১ ডিসেম্বর)। এটিই তেহরান ঘােষণা নামে পরিচিত।

(৬) ডাম্বারটন ওকস সম্মেলন

আমেরিকার ওয়াশিংটন শহরের কাছে ডাম্বারটন ওকস অঞলে সােভিয়েত প্রতিনিধি গ্রোমিকোরােলিয়া, মার্কিন প্রতিনিধি স্টেটিনিয়াম, ব্রিটিশ প্রতিনিধি আলেকজান্ডার ক্যাডােগান, চিনের প্রতিনিধি ড. ওয়েলিংটন কু এক সম্মেলনে মিলিত হন (১৯৪৪ খ্রি., আগস্ট-অক্টোবর)। এই সম্মেলনে জাতিপুঞ্জের অধীনস্থ বিভিন্ন বিভাগের রূপরেখা তৈরি ও ভেটো প্রদানের ক্ষমতা স্থির হয়।

(৭) ইয়াল্টা সম্মেলন

রাশিয়ার নিকটে ক্রিমিয়ার ইয়াল্টা প্রদেশে রুজভেল্ট, চার্চিল ও স্টালিন এক সম্মেলনে হন (১৯৪৫ খ্রি., ফেব্রুয়ারি)। এই সম্মেলনে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রগুলির নাম নির্ধারিত হয়। এই সম্মেলনের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় যে ফ্যাসিবাদ বিরােধী লড়াইয়ে শামিল রাষ্ট্রগুলিকে পরবর্তী সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনে যােগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানাে হবে।

(৮) সানফ্রান্সিসকো সম্মেলন

১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ২৫ এপ্রিল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত আমেরিকার সানফ্রান্সিসকো শহরে একটি সম্মেলন বসে। বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা মিলিত হয়ে জাতিপুঞ্জের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি নিয়ে বিশদ আলােচনা করেন। ৫০টি প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরাষ্ট্র ও হল্যান্ড সর্বমােট ৫১টি দেশ সর্বসম্মতিক্রমে জাতিপুঞ্জের সনদে স্বাক্ষর করে। প্রতিষ্ঠা দিবস ২৪ অক্টোবর থেকে এই সনদ আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাজ শুরু করে। ঐতিহাসিক ল্যাংসামের মত—“অংশগ্রহণকারী ৫০টি দেশ এবং প্রারম্ভিক ৫১টি স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রের মিলিত ফলশ্রুতি ছিল জাতিপুঞ্জের
সনদ।”

Leave a reply