Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

খিলাফত আন্দোলনের লক্ষ্য কী ছিল?

সূচনা

বিশ্বের মুসলমান ধর্মের রক্ষক ছিলেন ‘খলিফা’ বা ধর্মগুরু। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের সুলতানের পরাজয় ও অবমাননার প্রতিবাদ ছিল ভারতে ব্রিটিশবিরোধী খিলাফত আন্দোলন।

আন্দোলনের সূচনা

মহম্মদ আলি জিন্না, সৌকত আলি, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ নেতা জেলা মুক্তির পর নানা স্থানে সভাসমিতির মাধ্যমে খিলাফতের আদর্শ ছড়িয়ে দেন।

গান্ধিজির ভূমিকা

গান্ধিজির চেষ্টায় খিলাফত আন্দোলন জাতীয় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়। গান্ধিজির আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুসলিম সমাজের একটা বড়ো অংশ জাতীয় আন্দোলনে যোগ দেয়।

আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

এই আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল তুরস্কের সুলতান বা খলিফার সম্মান রক্ষা করা, হিন্দু- মুসলিম ঐক্যকে সুদৃঢ় করা, সরকার প্রদত্ত খেতাব বর্জনা করা, সরকারি খাজনা বন্ধ করা, সর্বোপরি মুসলিম রাষ্ট্রগুলির সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা।

সমালোচনা

অনেকেই খিলাফত আন্দোলনের প্রতি সমালোচনার তির নিক্ষেপ করেছেন। তাঁদের মতে এই আন্দোলন মুসলিম জনমনে জাতীয়চেতনা বৃদ্ধি অপেক্ষা সাম্প্রদায়িক সত্তাকেই বেশি জাগরিত করে। অমলেশ ত্রিপাঠী, জুডিথ ব্রাউন প্রমুখ ঐতিহাসিক এই আন্দোলনকে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক আন্দোলন বলেছেন।

উপসংহার

সমালোচনা সত্ত্বেও একথা বলতেই হয় যে খিলাফত আন্দোলন হিন্দু- মুসলিম ঐক্যকে মজবুত করেছিল। তাছাড়া জাতীয় আন্দোলনে পরবর্তীকালে হিন্দু-মুসলিম সমন্বয়ের সুর বেজে উঠেছিল।

Leave a reply