Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অসুবিধাগুলি লেখো।

গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অসুবিধা

গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অসুবিধাগুলি হল-

১) অজ্ঞ ও অশিক্ষিতদের শাসন

গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম ও প্রধান অভিযোগ হল- এটি অশিক্ষিত, অজ্ঞ ও অক্ষম ব্যক্তির শাসন। গণতন্ত্র জনগণের শাসন। জনগণের অধিকাংশই অশিক্ষিত এবং অজ্ঞ। সুতরাং যে শাসনব্যবস্থায় জনগণের ভূমিকাই মুখ্য, তা গুণগত বিচারে নিম্নমানের হওয়াই স্বাভাবিক। অজ্ঞ ও অশিক্ষিত জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও অনুরূপ প্রকৃতির হন। লেকির মতানুসারে, ‘গণতন্ত্র হল সর্বাপেক্ষা দরিদ্র, সর্বাপেক্ষা অজ্ঞ এবং সর্বাপেক্ষা অযোগ্য ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা, কারণ তারাই সংখ্যায় সর্বাধিক। কার্লাইলের মতানুসারে, ‘গণতন্ত্র হল মূর্খদের, মূর্খদের জন্য এবং মূর্খদের দ্বারা পরিচালিত শাসনব্যবস্থা।

২) সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন নয়

গণতন্ত্র প্রকৃত অর্থে জনগণের শাসন নয়। কারণ দেখা যায় নির্বাচনে সাধারণত 60 থেকে 65 শতাংশ ভোট পড়ে। ভেটিদাতাদের সকলেই একটি মাত্র দলকে সমর্থন করে। অনেকক্ষেত্রে এও দেখা যায় যে, শাসক দল বা জোট প্রদত্ত ভোটের 40 থেকে 45 শতাংশ পেয়েও দেশ শাসন করে। সুতরাং এরুপ শাসনকে সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন বলা যায় না।

৩) যোগ্য ব্যক্তিরা আগ্রহ হারায়

গণতন্ত্রে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হয় এবং নির্বাচনের জন্য প্রচুর অর্থব্যয় হয়। যে-সমস্ত সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি দলীয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চান,গণতন্ত্রে তাদের স্থান হয় না। কারণ নির্বাচনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো অর্থবল ও বাহুবল তাঁদের থাকে না।

৪) দলীয় রাজনীতির প্রাধান্য

গণতন্ত্রে শাসকবর্গ দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতালাভ করেন। ফলে নির্বাচনের পরও পরবর্তী নির্বাচনে জয়লাভের জন্য দলীয় সমর্থন অক্ষুণ্ন রাখতে দলই তাদের কাছে প্রধান হয়। সুতরাং দলীয় স্বার্থের কাছে জাতীয় স্বার্থ বিপন্ন হয়।

৫) জরুরী অবস্থার অনুপযোগী

গণতন্ত্রে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হয় বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে দেরি হয়। তাই বলা হয় এরূপ শাসনব্যবস্থা জরুরি অবস্থার অনুপযোগী।

৬) সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়

গণতন্ত্রে সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা লাভ করে। ফলে সরকার পুনর্নির্বাচনের আশায় নির্বাচকমন্ডলীর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে খুশি করতে চায়। একারণে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়।

পরিশেষে জনগণের অধিকাংশ অজ্ঞ অশিক্ষিত হয় বলে বাপটু নেতাদের বাক্‌চাতুর্যে তারা সহজেই প্রভাবিত হয়ে পড়ে। একারণে ভালোমন্দ নির্ধারণে জনসাধারণ ব্যর্থ হয়। ফলে গণতন্ত্র ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

Leave a reply