Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

পপুলেশন কাকে বলে। পপুলেশনের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

পপুলেশন কাকে বলে

পপুলেশন কোনো বিশেষ ভৌগোলিক অঞ্চলে বসাবাসকারী একই প্রজাতিভুক্ত জীবগোষ্ঠীকে পপুলেশন বলে।

ওডাম (Odum), (1974) এর মতে পপুলেশন হল “একইকই প্রজাতির বা নিকটবর্তী শ্রেণির জোটবদ্ধ সদস্য, যাদের মধ্যে জিনগত তথ্যের আদান-প্রদান হয় এবং যারা একটি নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে।”

পপুলেশনের বৈশিষ্ট্য

পপুলেশনের আকার

কোনো পপুলেশনের সদস্যদের আগমন বা বহির্গমনের সাথে সাথে এর আকার পরিবর্তিত হয়। জন্ম অথবা ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে যেমন পপুলেশনের আকার বৃদ্ধি পায় ঠিক তেমনই মৃত্যু বা এমিগ্রেশন পপুলেশনের আকার হ্রাস করে।

পপুলেশনের ঘনত্ব

একটি একক ক্ষেত্রে অবস্থিত একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির সকল সদস্যকে পপুলেশনের ঘনত্ব বলে। উদাহরণস্বরূপ যদি বলা হয় 10 বর্গ কিমি অঞ্চলে 300টি বাঘ অবস্থান করে তাহলে বাঘের পপুলেশন ঘনত্ব হবে 3001 পপুলেশন ঘনত্ব মূলত দুপ্রকারের হয়ে থাকে।

স্হূল ঘনত্ব

একটি বৃহৎ অঞ্চলে অবস্থিত একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির সকল সদস্যকে স্থূল ঘনত্ব বলে। যেমন সুন্দরবনে 400টি বাঘ আছে।

ইকোলজিক্যাল ঘনত্ব

একটি বৃহৎ অঞ্চলের একক ক্ষেত্রে অবস্থিত একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির সকল সদস্যকে ইকোলজিক্যাল ঘনত্ব বলে।

জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধি

পপুলেশন প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধি । জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধি বলতে সময়ের সাথে সাথে জনসংখ্যার বৃদ্ধিকে বোঝায়। জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধি নিম্নলিখিত চারটি কারণের উপর নির্ভরশীল (i) জন্মহার (B), (ii) ইমিগ্রেশন (I), (iii) মৃত্যুহার (D) এবং (iv) এমিগ্রেশন (E)। যদি কোনো পপুলেশনের প্রারম্ভিক জনসংখ্যা N হয় এবং সময় পর জনসংখ্যা যদি N, হয় তাহলে N = N + (B + I) – (D+E) অর্থাৎ জনসংখ্যা বৃদ্ধি = প্রারম্ভিক জনসংখ্যা + (জন্মহার + ইমিগ্রেশন) – (মৃত্যুহার + এমিগ্রেশন) ।

বয়সের বিস্তার 

কোনো একটি পপুলেশনের অপরিণত, মধ্যবয়স্ক, বৃদ্ধবয়স্ক প্রভৃতি বয়সভিত্তিক সদস্যরা ওই পপুলেশনের জন্মহার ও মৃত্যুহারের উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। সাধারণত একটি পপুলেশনে তিনটি ইকোলজিক্যাল বয়স থাকে। যথা-

  1. প্রাক্ প্রজনন কাল ( Pre-reproductive age),
  2. জনন কাল ( Reproductive age) এবং
  3. পশ্চাদ জনন কাল (Post-reproductive age)।

এই তিনটি ইকোলজিক্যাল বয়স দ্বারা পপুলেশনের চরিত্র বোঝা যায়।

জৈবিক ক্ষমতা

পপুলেশন অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল জৈবিক ক্ষমতা । কোনো একটি পপুলেশনের অন্তর্গত জীবেদের জনন ক্ষমতাকেই জৈবিক ক্ষমতা বলা হয়। কোনো পপুলেশনের জৈবিক ক্ষমতা যদি অনিয়ন্ত্রিত হয় তবে, কোনো প্রজাতির সদস্য সংখ্যা অত্যধিকহারে বৃদ্ধি পায়।

পরিবেশজনিত বাধা

কোনো পপুলেশনের জৈবিক ক্ষমতা একাধিক পরিবেশজনিত শর্ত দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়। পরিবেশজনিত বাধা বলতে খাদ্য ও বাসস্থানের অভাব, খরা, বন্যা, বজ্রপাত, আগুন, ভূমিকম্প সহ একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় বোঝায়। কোনো পপুলেশনের অপরিমিত বৃদ্ধির প্রধান অন্তরায় হল পরিবেশজনিত বাধা ।

ধারণ ক্ষমতা

অনুকূল পরিবেশে কোনো একটি বাস্তুতন্ত্রের একটি প্রজাতির পপুলেশনের সর্বাধিক সদস্য গ্রহণের ক্ষমতাকে ধারণ ক্ষমতা বলা হয়। কোনো পপুলেশনের ধারণ ক্ষমতাকে k দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। যদি কোনো পপুলেশনের ধারণ ক্ষমতা সর্বাধিক হয় তখন পপুলেশন বৃদ্ধি বদ্ধ হয়ে যায়।

Leave a reply