Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

গণতন্ত্রের সাফল্যের শর্তগুলি কী ভারতে আছে?

ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতে প্রতিনিধিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছে। ভারতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও বিকাশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে।

১) সার্বিক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার : ভারতে সংবিধানের ৩২৬ ধারায় সার্বিক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার স্বীকার করা হয়েছে। জাতি, ধর্ম, বংশ, স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেক ১৮ বৎসর বয়স্ক ভারতীয় নাগরিক এই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করতে পারে।

২) সাংসদীয় শাসনব্যবস্থা : ভারতে শাসনকার্য জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে অর্থাৎ মন্ত্রিসভার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই মন্ত্রিসভা শাসনকার্য পরিচালনার ব্যাপারে প্রত্যক্ষভাবে আইনসভার কাছে এবং পরোক্ষভাবে জনসাধারণের কাছে দায়িত্বশীল থাকে।

৩) দেশবাসীর ব্যক্তিত্বের বিকাশ ও আত্মোপলব্ধির স্বার্থে সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে কতকগুলি মৌলিক অধিকার স্বীকার করা হয়েছে।

৪) সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সংবিধানের চতুর্থ অধ্যায়ে রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে কতকগুলি নির্দেশমূলক নীতি সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে।

৫) ভারতে গণতন্ত্রের অভিভাবক হিসাবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

৬) ভারতে শাসনব্যবস্থা কেবল গণতান্ত্রিক নয়, প্রজাতান্ত্রিকও বটে।

৭) ভারতীয় সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে স্বীকার করা হয়েছে।

৮) সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

৯) অনুন্নত ও অনগ্রসর শ্রেণির স্বার্থে সংবিধানে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

১০) সংবিধানের প্রস্তাবনাতেই ন্যায়, স্বাধীনতা ও সাম্য প্রতিষ্ঠার সাধুসংকল্প ঘোষণা করা হয়েছে এবং তা কার্যকর করার ব্যাপারে সংবিধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

পরিশেষে ভারতে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক বিচারে গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো বর্তমান। কিন্তু উপরিউক্ত কারণসমূহের জন্য তা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছে। এতদসত্ত্বেও ভারতে গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে, এ কথা বলা যাবে না। এখানে জনগণের অধিকাংশ অশিক্ষিত ও দরিদ্র। কিন্তু তারা রাজনৈতিক চেতনাহীন তা বলা সমীচীন হবে না। কারণ এ পর্যন্ত বিভিন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের রাজনৈতিক বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করেছে এবং তার ফলাফল বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। মনে রাখতে হবে এই ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলেছে।

Leave a reply