Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

সুস্থায়ী কৃষির প্রয়োজনীয়তা গুলি আলোচনা করো।

ভূমিকা

সুস্থায়ী কৃষির প্রয়োজনীয়তা (Need for Sustainable Agriculture) সামগ্রিকভাবে শস্য-উদ্ভিদের উন্নতি সাধন করাই হল উদ্ভিদ প্রজনন বিদ্যার প্রধান লক্ষ্য। আমাদের দেশে কৃষিতে সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমে সুস্থায়ী কৃষির কাণ্ডারি হলেন ড. বি. পি. পাল (Dr. B. P. Pal) এবং ড. এম. এস. স্বামীনাথন (Dr. M. S. Swaminathan )।

সুস্থায়ী কৃষির প্রয়োজনীয়তা

সুস্থায়ী কৃষির মূল প্রয়োজনীয়তা গুলি নীচে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হল—

1. অধিক ফলনশীল জাত বা ভ্যারাইটি সৃষ্টি (High yielding variety production)

বিভিন্ন খাদ্যশস্য, তত্ত্ব, ফল, শাকসব্জি এবং অন্যান্য অর্থকরী উদ্ভিদের ফলন বৃদ্ধির জন্য উচ্চফলনশীল জাতের সৃষ্টি করা হয়েছে। যেমন আমাদের দেশে IR-8, IR-30, জয়া, রত্না প্রভৃতি অধিক ফলনশীল ধানের জাত এবং মোনালিসা, জনক, কল্যাণসোনা প্রভৃতি অধিক ফলনশীল গমের জাত ব্যাপক পরিমাণে চাষ করা হয়।

2. গুণগত মানোন্নয়ন (Improved quality)

উন্নত গুণবত্তা (high quality) যুক্ত উদ্ভিদ সৃষ্টিতে বর্তমানে উদ্ভিদ প্রজনন বিদ্যা (Plant breeding)-কে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফল, বীজ, দানাশস্য ইত্যাদির আকার, গঠন, স্বাদ, খাদ্যগুণ এবং বর্ণের উন্নতি সাধন ঘটানো হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে আখের শর্করা বৃদ্ধি, ধানের ক্যারোটিন বৃদ্ধি, ডালের প্রোটিন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। অপর দিকে তুলো ও পাটের খর্বাকার তত্ত্বকে দীর্ঘ করা হয়েছে।

3. রোগ প্রতিরোধক ভ্যারাইটি উৎপাদন (Disease resistant variety production)

রোগ প্রতিরোধক্ষম ভ্যারাইটি উৎপাদন সুস্থায়ী কৃষির অপর এক সুফল। বর্তমানে রোগ প্রতিরোধক ভ্যারাইটি সৃষ্টির মাধ্যমে চাষীরা ফলনের একটা বিরাট অংশকে নানারকম রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে রোগ প্রতিরোধক ভ্যারাইটি যুক্ত উদ্ভিদের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ ‘ET-4141’ ধানের ভ্যারাইটি হল ব্লাইট রোগ প্রতিরোধক এবং ‘বাণী’ হল পঙ্গপাল প্রতিরোধক জাত।

4. পেস্টের আক্রমণ প্রতিরোধক (Resistant to pests)

আমাদের দেশে ফসলের একটি বিরাট অংশ পেস্টদের আক্রমণে বিনষ্ট হয়। সুস্থায়ী কৃষির আনুকূলো ইন্টিগ্রেটেড পেস্ট ম্যানেজমেন্টের (IPM) দ্বারা এর থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া গেছে।

5. মাটির আম্লিক ও ক্ষারীয় অবস্থা সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধি (Increase of power of endurance of acidity and alkanity of the soil)

মাটি বেশিমাত্রায় আম্লিক বা ক্ষারীয় অবস্থায় থাকলে অধিক পরিমাণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়। তাই বর্তমানে উদ্ভিদ প্রজনন বিদ্যার সাহায্যে বেশি মাত্রায় আম্লিক এবং ক্ষারীয় অবস্থা সহ্য করার ক্ষমতাযুক্ত উদ্ভিদ ভ্যারাইটির সৃষ্টি করা হয়েছে।

6. প্রতিকূল পরিবেশ সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধি (Increase of power to unfavourable environmental situation)

বন্যা, খরা, ঝড়, তুষারপাত, কুয়াশা প্রভৃতি বিরূপতা সহ্য ক্ষমতাযুক্ত উদ্ভিদ ভ্যারাইটি উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। যেমন আমাদের দেশে খরা সহনশীল ধানের জাত ‘কাঞ্চন’ এবং “কিরণ’ সৃষ্টি করা হয়েছে।

Leave a reply