Register Now

Login

Lost Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.

Captcha Click on image to update the captcha .

বন্যার ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি কি?

বন্যার ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি কি?

বন্যার ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি

বিভিন্ন পরিবেশগত বিপর্যয়ের মধ্যে বন্যার সংখ্যা সব থেকে বেশি। ভারতে প্রত্যেক বছর প্রচুর গ্রাম, শহর ও বসিত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়; মানুষ ও গবাদি পশুসহ প্রচুর সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ঘরবানি, রাস্তাঘাট, শিল্পকারখানা, রেললাইন, সেতু প্রভৃতিরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ন্যাশনাল ফ্লাড কমিশনের সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ভারতে বন্যা প্রবণ হল প্রায় ৪ কোটি হেক্টর জমি। বন্যা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলেও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বন্যার ঘটনা হ্রাস করা যেতে পারে ও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাও অনেকাংশে কমানো যেতে পারে।

বর্তমানে বিভিন্ন উপগ্রহের মাধ্যমে রিমোর্ট সেন্সিং টেকনোলজি প্রয়োগ করে বন্যার ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে যা যা করা হচ্ছে তা হল :

(ক) বন্যায় নিমজ্জিত বিভিন্ন জমির ম্যাপ তৈরি ও তার পরিচালন-এর মধ্যে পড়ে-

  1. অতি দ্রুত বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির তথ্যাবলি প্রস্তুত করা।
  2. বন্যা নিয়ন্ত্রণের কার্যতালিকা প্রস্তুত করে তার সঠিক পরিচালন করা।

(খ) নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ম্যাপ প্রস্তুত করে তার যথাযথ পরিচালন-এর মধ্যে

  1. নদীর দ্বারা ভূমিগ্রাসের পরিমাণ নির্ধারণ করা।
  2. বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলি আগে থেকেই চিহ্নিত করে রাখা।
  3. বন্যার আগাম সতর্কতা জারি করে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

(গ) বন্যা হওয়ার সাথে সাথে তার ম্যাপ প্রস্তুত করে ক্ষতির মাত্রা নির্ণয় করা ও বন্যা ত্রাণকার্যে সাহায্য করা। একটি অঞ্চলে বন্য হলে ভারতীয় রিমোর্ট সেন্সিং প্রয়োগের মাধ্যমে স্যাটেলাইট ভাটা তৈরি করে সেগুলিকে বিভিন্ন দপ্তরগুলিতে ৬ ঘণ্টার মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে যে তথ্যগুলি থাকে তা হল কোন্ কোন্ এলাকা বন্যা কবলিত, তার মাত্রাী, জলের মাত্রা কী হারে বাড়ছে বা কমছে। এরফলে ত্রাণকার্যের সাথে যুক্ত বিভিন্ন দপ্তর তাদের পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে পারে। এই পদ্ধতি আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে খুবই কার্যকরী হয়েছে।

Leave a reply