পূর্ণ প্রতিযোগিতার বাজারে ফার্মের স্বল্পকালীন ভারসাম্য
পূর্ণ প্রতিযোগিতার বাজারে স্বল্পকালে কোনো ফার্ম তার উৎপাদনের আয়তনের পরিবর্তন করতে পারে না। আবার স্বল্পকালে কোনো ফার্ম শিল্পে প্রবেশ বা শিল্প ত্যাগ করে যেতে পারে না।
স্বল্পকালীন ভারসাম্যের শর্ত
স্বল্পকালে ফার্ম সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের জন্য সেই পরিমাণ উৎপাদন করে যেখানে তার প্রান্তিক আয় ও প্রান্তিক ব্যয় পরস্পর সমান হয়। পূর্ণ প্রতিযোগিতামুলক বাজারে দাম ও প্রান্তিক ব্যয় পরস্পর সমান হয় বলে ফার্ম সেখানেই সর্বাধিক মুনাফা পায় যেখানে দাম ও প্রান্তিক ব্যয় পরস্পর সমান।
আবার ভারসাম্যকালে প্রান্তিক ব্যয় বাড়তেই থাকে। বাজার দর স্থির থাকলে এবং প্রান্তিক ব্যয় কমলে ফার্মটি অত্যধিক মুনাফা অর্জনের লোভে উৎপাদন বাড়িয়েই চলবে এবং ভারসাম্য আসবে না। আবার প্রান্তিক ব্যয় বাড়তে থাকলে প্রান্তিক ব্যয়রেখা নীচের দিক থেকে দাম রেখাকে ছেদ করে ঊর্ধ্বগামী হবে।
ভারসাম্যের দশা
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ফার্মের ভারসাম্য আসে দামের সঙ্গে প্রান্তিক ব্যয়ের সমতা এলে। দাম আবার গড় ব্যয় অপেক্ষা বেশি, গড় ব্যয়ের সমান বা গড় ব্যয়ের চেয়ে কমও হতে পারে। গড় ব্যয়ের চেয়ে দাম বেশি হলে ফার্ম অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করে। আবার দাম যদি গড় ব্যয়ের সমান হয় তা হলে ফার্মের ক্ষতি হয়ে থাকে।
স্বল্পকালে ফার্মের অতিরিক্ত মুনাফা হলে ফার্ম তা ভোগ করে। কারণ নতুন নতুন ফার্ম শিল্পে প্রবেশ করে জোগান বৃদ্ধি ও দাম কমাতে পারে না। ফলে ফার্মের মুনাফা ভোগ সম্ভব হয়। অন্যদিকে, স্বল্পকালে দাম গড় ব্যয়ের সমান হলে ফার্মটি স্বাভাবিক মুনাফা ভোগ করে বলে উৎপাদন চালিয়ে যায়। কিন্তু দাম গড় ব্যয়ের চেয়েও কম হলে ফার্মটি ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং তার পক্ষে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। প্রসঙ্গত, ক্ষতির পরিমাণ কমে ন্যূনতম হতে পারে – এমন সম্ভাবনা থাকলে স্বল্পকালে ফার্ম ক্ষতি স্বীকার করেও উৎপাদন চালিয়ে যাবে।
Leave a reply
You must login or register to add a new comment .